আমুদরিয়া নিউজ : সেরিব্রাল পালসি হওয়ায় ডান হাত অকেজো সারিকার। বাঁ হাতে মোটর চালিত হইল চেয়ার কনট্রোল করে চলাফেরা করেন তিনি। জন্ম থেকে এই রোগে ভুগলেও দারুণ জেদি ও ধৈর্য মেয়েটির। তাই স্নাতক হওয়ার পরে বেছে নিয়েছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার চ্যালেঞ্জ। সে ওই পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক দুই বিভাগে সফল হয়েছে। এ বছর ইউ পিএস সির ফলাফল অনুসারে তিনি ৯২২ নম্বরে রয়েছেন সারা ভারতে। উত্তর কেরালার বাসিন্দা সারিকা।
সারিকার বাবা কাতারে চাকরি করেন। তিনি মেয়ের পরীক্ষার সময়ে এসে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছেন। সারিকা জানান, তাঁর বাড়ির লোকজন, আত্মীয়রা, স্কুল-কলেজের সকলেই তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। সহযোগিতা করেছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, আমি ফলাফল দেখে প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। তবে পাশ করব ভেবেছিলাম। খুশি যে আমি পেরেছি। আমার আনন্দ প্রকাশ করার ভাষা আমার কাছে নেই। বাবা-মা সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট দিয়েছেন।”
বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য কি বার্তা দেবেন?
সারিকা পাওলো কোয়েলহোর “অ্যালকেমিস্ট” বইয়ের একটি লাইন উদ্ধৃত করেন, ‘যখন আপনি সত্যিই কিছু চান, তখন সমগ্র মহাবিশ্ব আপনাকে তা অর্জনে সাহায্য করার জন্য নানাভাবে তৈরি হয়ে যায়।’ সেই সঙ্গে তিনি আমেরিকার একজন মহিলা জেসিকা কক্সের কথাও উল্লেখ করেন। যাঁর দুটো হাত ঠিক না থাকা সত্ত্বেও লাইসেন্সপ্রাপ্ত পাইলট হয়েছিলেন।
সারিকা জানান, পরীক্ষার সব ধাপ ছিল কঠিন। প্রাথমিক পরীক্ষা কেন্দ্রটি ছিল কোঝিকোড়ে। মূল পরীক্ষাটি তিরুবনন্তপুরমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যে হেতু এটি এক সপ্তাহ দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল, তাই তাকে এবং তার বাবা-মাকে সেখানে ভাড়ায় থাকতে হয়েছিল। অটোতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হয়েছিল। তবে মৌখিক পরীক্ষায দিল্লিতে হয়। তখন তিনি কেরালা হাউসে ছিলেন। সেখানে সমস্যা ছিল ঠান্ডা। তিনি জানান, দিল্লিতে শীতকাল মানে ভীষণ ঠাণ্ডা সেটা সকলেই জানেন।
Leave a Comment