আমুদরিয়া ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পেগাসাসের ব্যবহার করা যেতেই পারে। মঙ্গলবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে তথ্য উঠে আসবে তা নিরাপত্তার স্বার্থে বাইরে প্রকাশ করা যাবে না। পেগাসাস স্পাইওয়্যার তৈরি করেছে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও গ্রুপ। এর মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির মোবাইল ফোনে থাকা মেসেজ, ইমেল, ছবিতে গোপনে প্রবেশ করতে পারে নজরদারি কর্তৃপক্ষ।
এমনকী এর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির লোকেশন ট্র্যাক করা যায় এবং ফোনকলে আড়ি পাতাও সম্ভব হয়। অত্যন্ত শক্তিশালী এই স্পাইওয়্যার দিয়ে ওই ব্যক্তির অজ্ঞাতেই তাঁর ফোন ক্যামেরায় ছবি তোলা বা ভিডিও করা যায়। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। ‘পেগাসাস’-এর অপব্যবহারের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়।
সেই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “বর্তমানে আমরা যে অবস্থার মধ্যে রয়েছি, তাতে আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। কোনও দেশ যদি আড়ি পাতার সফটওয়্যার ব্যবহার করে তাহলে ভুলটা কোথায়? স্পাইওয়্যার ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আপোস করা যায় না। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে যে এই সফটওয়্যার কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। যদি আমজনতা বা কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সফটওয়্যার ব্যবহার হয় তাহলে অবশ্যই সেটা খতিয়ে দেখা হবে।” তিনি আরও জানান, পেগাস্যাস সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না কারণ তার সঙ্গে দেশের সুরক্ষা জড়িত। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি জানতে চান তিনি নজরদারির আওতায় পড়ছেন কিনা, সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে।