আমুদরিয়া নিউজ : ঠক..ঠক..ঠক…কফিনের ভেতর থেকে টোকা দিচ্ছে কে! ভেতরে তো মরদেহ। কফিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে বৌদ্ধ গুম্ফায় সমাহিত করতে। কিন্তু, কফিনের ঢাকনায় ঠক-ঠক আওয়াজ হয়েই চলেছে। কে, কে টোকা দেয় ওখানে! গুম্ফার সমাধিস্থানের কর্মী কফিনের ঢাকনা খুলে ফলতেই চারদিকে থাকা সকলেই আঁতকে উঠলেন।
যাঁকে কফিনে পুরে দুদিন ধরে গাড়ি চড়িয়ে সমাধিস্থ করতে ৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে আনা হয়েছিল, তিনি চোখ খুলে কাত হয়ে কফিনের ঢাকনায় টোকা দিয়েই চলেছেন। সঙ্গে সঙ্গে গুম্ফা কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন। ডাক্তাররা জানালেন, অন্তত দুদিন ধরে কপিনে থেকে তাঁর সুগার লেভেল একেবারেই আশঙ্কাজনক জায়গায় নেমে গিয়েছে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
তিন দিন আগে ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে। ব্যাংককের উপকণ্ঠে অবস্থিত নন্থাবুরি প্রদেশের ওয়াট রাট প্রাখং থামের একটি বৌদ্ধ মন্দিরে। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ফেসবুকে গুম্ফার পক্ষ থেকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, ৬৫ বছর বয়সী এক মহিলা একটি পিকআপ ট্রাকের পিছনে একটি সাদা কফিনে শুয়ে আছেন। গুম্ফার ম্যানেজার পাইরাত সুদথুপ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, যে কফিন থেকে ক্রমাগত ঠক ঠক আওয়াজে তিনি অবাক হয়েছিলেন। তাই কফিনটি খুলতে বলেছিলেন। তার পরে সেটা খুলতেই সবাই চমকে ওঠেন।
৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধাকে মৃত ভেবে তাঁর ভাই কফিনে পুরে প্রথমে গিয়েছিলেন অঙ্গদান করাতে। কিন্তু, ডেথ সার্টিফিকেট না থাকায় হাসপাতাল নিতে রাজি হয়নি। এর পরে তারা বাড়ি থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের গুম্ফায় নিয়ে যান সমাধিস্থ করতে। কিন্তু, গুম্ফা কর্তৃপক্ষ জানান, ডেথ সার্টিফিকেট লাগবে। ইতিমধ্যে ঠক ঠক ঠক ঠক আওয়াজ শুরু হয়ে যায়…
প্রতিবেদক : বর্ণা ভট্টাচার্য, নিউজ কো অর্ডিনেটর, আমুদরিয়া নিউজ।