আমুদরিয়া নিউজঃ উত্তরবঙ্গের প্রাচীন কালীপুজোগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। কথিত আছে সাধক বামাক্ষ্যাপা এই মন্দিরে ধ্যান ও সাধনা করে গিয়েছেন। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার জংলা কালী মাতার পুজোর কথা বলছি। মুসনাদে নদীর তীরে অবস্থিত এই জাগ্রত মন্দিরের কালীপুজো প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। দীপান্বিতা কালীপুজোয় খুব ঘটা করে পুজো হয় মন্দিরে। শতাধিক পাঁঠা বলি হয়। এছাড়া প্রতি অমাবস্যায় নিয়ম করে ভোগ দিয়ে জংলা কালীমাতার পুজো হয় বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, জনশ্রুতি আছে এক সময় এই এলাকায় ঘন অরণ্য ছিল। আর মুজতাঘ নদী দিয়ে নৌকা চলাচলের মাধ্যমে বাণিজ্য চলত। তখনকার দিনে ডাকাতেরা কালীপুজোর দিন নৌকা করে এসে সেখানে পুজো করত। আবার রাতারাতি চলে যেত। জঙ্গলের মাঝে যে দুই এক ঘর বসতি ছিল তারা দূর থেকে ঢাক, কাসর, ঘন্টার আওয়াজ পেত। ধীরে ধীরে ওই এলাকায় জনবসতি বাড়তে থাকে। বন জঙ্গল কাটা হতে থাকে। এরপর আর ডাকাতেরা সেখানে পুজো করতে আসা বন্ধ করে দেয়। তখন এলাকাবাসী ছনের মন্দির তৈরি করে মায়ের পুজো শুরু করেন। সাধক বামাক্ষ্যাপাও নাকি এই মন্দিরে এসে ধ্যান ও সাধনা করেছিলেন।
এরপর দিন দিন এই মন্দিরের প্রসিদ্ধ হতে থাকে। সারা বছরই প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। ভক্তরা এখানে এসে মানদ করেন। কামনা বাসনা পূর্ণ হলে ছাগল,পায়রা দেবীকে উৎসর্গ করেন। আসন্ন কালীপুজো ঘিরে এই মন্দিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে।