আমুদরিয়া নিউজ: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার এক মাসের সামনে এল দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট। ১৫ পাতার এই রিপোর্টে প্রথমবারের মতো সরকারি ভাবে জানানো হল কী ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক মুহূর্তে। প্রাথমিক ওই রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, বিমানটি ওড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই দুটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ইঞ্জিনে জ্বালানি পৌঁছোনো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আচমকাই। জ্বালানির সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাটঅফ’ (বন্ধ)-এ চলে এসেছিল এক সেকেন্ডের মধ্যে। বিমানটি ইঞ্জিন বন্ধের ঠিক আগের মুহূর্তে সর্বোচ্চ গতিতে (১৮০ নটস আইএএস) পৌঁছে যায়। এরপরই একে একে দুই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে দুই পাইলটের কথোপকথন প্রকাশ্যে। একজন পাইলট বলেন, ‘ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন?’ অপর পাইলট বলেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’ ইঞ্জিন বন্ধের পর জরুরি ভিত্তিতে RAT (‘র্যাম এয়ার টার্বাইন) চালু করা হয়। এই RAT ইঞ্জিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। একটি ইঞ্জিন আংশিক চালু হয়েও গিয়েছিল। কিন্তু অন্য ইঞ্জিনটি কোনও ভাবেই চালু করা যায়নি। রিপোর্টে অন্তর্ঘাত বা পাখির ধাক্কায় দুর্ঘটনার তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে উড়ান শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই ১৭১। যাত্রী ও ক্রু সহ বিমানে থাকা ২৪১ জনের মৃত্যু হয়। প্রাণে বেঁচে যান মাত্র ১ জন।
