আমুদরিয়া নিউজ : তিনি শহরের মেয়র। তাঁকে ঘিরে থাকত ৭ জন পুলিশ অফিসার। সপরিবারে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মেয়র। তখন তাঁকে পরিবারের লোকজনের সামনে গুলি করে মারে ১৭ বছরের এক কিশোর। মুহূর্তের মধ্যে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় ওই ৭ পুলিশ অফিসার তথা দেহরক্ষী।
এই ঘটনা হল মেক্সিকোর উরুয়াপন শহরের। নিহত মেয়রের নাম কার্লোস মানজো। মাত্র ৪০ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। তিনি এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে সেই হত্যাকাণ্ড ব্যাপক শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ফলে গোটা দেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কারণ, এই মেয়র মেক্সিকোর ড্রাগের কারবারিদের বিরুদ্ধে সবসময় সরব ছিলেন। ড্রাগের কারবারিরা বড় ষড়যন্ত্র করে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। এক ড্রাগ কারবারি কিং পিনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার পরে তদন্তে নেমে সূত্র পেয়ে মেয়রের দেহরক্ষী হিসেবে সযে ৭ জন পুলিশ অফিসার ছিলেন, সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, এমনভাবে প্ল্যান করা হয়েছে যে হত্যাকারীকে সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেললে তাকে কে নির্দেশ দিয়েছিল সেটা জানা যাবে না। সে ক্ষেত্রে দেহরক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ জোরদার হয়। এর পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বর্তমানে শহরের মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর স্ত্রীকে। এই দেহরক্ষীরা শুক্রবার পর্যন্ত নিহত মেয়রের স্ত্রী ও পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
কার্লোস মানজো এক বছরেরও বেশি সময় ধরে উরুয়াপানের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মেক্সিকোর কুখ্যাত ও শক্তিশালী মাদক চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছিলেন। ১ নভেম্বর তাঁকে খুন করা হয়। গত শনিবার, মেক্সিকানরা মানজোর হত্যার নিন্দা জানাতে দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে একটি বিশাল বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয় এবং ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতিবেদক : বর্ণা ভট্টাচার্য, নিউজ কো অর্ডিনেটর, আমুদরিয়া নিউজ