আমুদরিয়া নিউজঃ দুর্গাপূজার আজ সপ্তমী। আর পুজো শুরু হতেই শহরের পথে, মোড়ে,বাজারে শোলার ফুল বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। পুজোর সময় শোলার ফুল বিক্রি করে লক্ষ্মী লাভ করেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা। অনেকে আবার সারা বছর অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পুজোর সময় এই কুটীর শিল্পের মাধ্যমে শোলার ফুল তৈরি করেন বাড়তি রোজগারের জন্য।
পুজোয় আনন্দের পাশাপাশি হয় বাড়তি রোজগার। শোলা এক ধরণের পরিবেশ বান্ধব অলঙ্করণ যা দূষণ ছড়ায় না। এটি একটি জলজ উদ্ভিদ। বর্ষা কালে শোলা গাছ জন্মায় এবং চাষ করা হয়। উত্তর বঙ্গের কিছু জেলায় অল্প বিস্তর শোলার চাষ হয়। কিছু গ্রামীণ মানুষ এই কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা, তুফানগঞ্জ, দিনহাটা মহকুমার অন্তর্গত কয়েকটি গ্রামের মানুষ শোলা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
স্থানভেদে নবমী বা দশমীতে বহু হিন্দু পরিবারে বাড়ির দরজার সামনে শোলার ফুল ঝোলানোর রীতি রয়েছে। তাই পুজো শুরু হতেই কোচবিহার শহরের জনবহুল এলাকা, রাস্তা,মোড়,চৌপথী,বাজার এলাকায় শোলার ফুল বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। কথা বলে জানা গিয়েছে এই শোলার ফুল বিকরেতারা গ্রাম থেকে এসেছেন। এই ফুল বেচে পুজোর সময় বাড়তি রোজগারের আশায় থাকেন তারা। শোলা শিল্পীদের আক্ষেপ, একসময় স্থানীয় ডোবা, পুকুরেই প্রচুর শোলা পাওয়া যেত। এখন তেমন পাওয়া যায় না। কেউ কেউ পাশের রাজ্য আসাম থেকেও শোলা কিনে এনে কাজ করেন। তাতে লাভের পরিমাণ অনেকটা কম। দিনহাটার ভেটাগুড়ি থেকে আসা এক শোলার ফুল বিক্রেতা জানান, বয়স হয়েছে। আগের মতো কাজ করতে পারি না। শোলাও কম।অন্য কাজের পাশাপাশি পুজোর আগে একমাস কাজ করি। এতে বাড়তি কিছু আয় হয়। তাতে পুজোর মাসে কাজে আসে।