ওয়েব ডেস্ক : ভারতীয় অনেকেই বিদেশে কাজের জন্য যান। সেখানে কেমন হেনস্থার শিকার হন অনেকে সেটাই আজ বলব। ভারতের একজন নেপালিভাষী মহিলা হংকংয়ে হাউসকিপিংয়ে কাজে যোগ দেন। তাঁর বয়স ৩৬ বছর। তিনি একজন সুইডিশ ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করতেন।
একদিন রাতে তিনি যখন বাড়ির আবর্জনা ফেলতে য়াচ্ছিলেন, সে সময়ে বাড়ির মালিক মদ্যপ অবস্থায় ওই মহিলাকে জবরদস্তি ঘরে নিয়ে যান। মহিলা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি হুমকি দিয়ে গায়ের জোরে তাঁকে ধর্ষণ করেন। অবিযোগ, হংকংয়ে কাজে যাওয়া বিদেশিনীদের অনেকেই এমন যৌন হেনস্থার শিকার হন। কাজ হারানোর ভয়ে চুপ করে থাকেন।
এই মহিলা, যাঁর নাম ধরা যাক সাহসিনী। তিনি কিন্তু সোজা পুলিশের কাছে যান। পুলিশ মামলা রুজু করে। মহিলা কাজ হারান।
সেটা ছিল ২০২২ সালের অক্টোবর মাস। কোথাও আর কাজ পাননি। ওই গেশে থাকা বিদেশিনী কর্মীদের সাহায্যে তিনি ছেলেমেয়ে নিয়ে কোনমতে বেচে রয়েছেন। এতদিন মালা চলার পরে দুদিন আগে হংকংয়ের আদালতে সুইডিশ ব্যক্তিটি দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তার জরিমানা ছাড়াও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
সাহসিনী জানিয়েছেন, মামলা চলার সময়ে তাকে চরিত্রহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল লোকটি। কিন্তু, ওই বাড়ির একজন লোক গোটা ঘটনার সাক্ষ্য দেন। কীভাবে সুইডিশ লোকটি জবরদস্তি মহিলাকে বেডরুমে নিয়ে যান, হুমকি দেন, এমনকী মহিলার মেয়েকেও ধর্ষণের হুমকি দিয়ে দেশছাড়া করবেন বলেছিনলেন সেটা আদালতে সাক্ষী জানায়।
প্রায় দুই বছর পর, বিচারকমণ্ডলী ওই ব্যক্তিতে দোষী বলে রায় দেন। সাহসিনী বলেছেন, আমি বেঁচে আছি এবং হংকং সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ যে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি সামাজিক কর্মীদের এবং এই দুই বছরের যাত্রায় আমাকে সাহায্যকারী প্রত্যেকের কাছেও কৃতজ্ঞ।