আমুদরিয়া নিউজ: কিছুটা নজিরবিহীন কাণ্ড ঘটল শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের বোর্ড মিটিঙে। বুধবার দুপুরে। এদিন শিলিগুড়ি পুর কর্পোরেশনের বোর্ড মিটিঙে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে চেঁচামেচি করায় দলের মেয়র পারিষদ সদস্য দিলীপ বর্মনকে বের করে দিলেন তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী। দিলীপবাবুকে বেরিয়ে যেতে বলেন মেয়র গৌতম দেব ও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারও(রানা)। চেয়ারম্যান চক্রবর্তীর রুলিংয়ের কারণে বেরিয়ে যান দিলীপবাবু। কিন্তু, পুরভবনে বোর্ড মিটিংয়ের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে মেয়র-ডেপুটি মেয়রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দিলীপবাবু। এমনকী, বিষয়টি নিয়ে মেয়র-ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কি না জানতে চাইলে তৃণমূল নেতা দিলীপবাবুকে বলতে শোনা যায়, এ সব দুগ্গিবাজের সঙ্গে কোনও কথা বলব না। মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপবাবুর মতো প্রবীণ নেতাকে বলতে শোনা যায়, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই!
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মেয়র গৌতম দেব বলেন, উনি যে বিল্ডিংটি নিয়ে বলেছেন, সেটির ব্যাপারে আদালতে মামলা রয়েছে। আইনের নির্দেশ মতো কাজ চলছে। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই প্রসঙ্গে মেয়র গৌতম দেব বলেছেন, মানহানির বিষয়ে যেখানে যা করতে হয় সেটা করব। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার (রানা)-এর বিরুদ্ধে দিলীপের অভিযোগ বেশি। ডেপুটি মেয়র বলেন, রাগের মাথায় উনি খারাপ কথা বলেছেন বলে আমাদেরও কি পাল্টা কুকথা বলতে হবে!
এই ঘটনা নিয়ে গোটা শহরে শোরগোল পড়েছে। কারণ, পুরভবনে দাঁড়িয়ে বোর্ড মিটিঙের সময়ে মেয়র-ডেপুটি মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের কাউন্সিলর মেয়র পারিষদ সদস্য দিলীপবাবু। তার উপরে কটাক্ষ করে বলেছেন, মেয়র ও ডেপুটি মেয়র প্রসঙ্গে যে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই!
এই নিয়ে গোটা শহরেই এখন চর্চা চলছে।
এই অবস্থায়, তৃণমূল নেতা দিলীপবাবু রাজবংশী কার্ড সামনে এনেছেন। দিলীপবাবুর অভিযোগ, আমি দিলীপ বর্মন বলেই এমন ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটছে। তিনি এটাও বলেন, গোটা পুরসভায় আমিই একমাত্র রাজবংশী কাউন্সিলর। কোথাও দলের মিটিং যখন হয়, আমি কত হাজার লোক আনি সেটা সবাই জানে। রাজবংশীরা কি করতে পারে সেটা মাথায় রাখতে হবে।
এই ঘটনার খবর পৌঁছে গিয়েছে কলকাতায় তৃণমূলের সদর দফতরে। এর পরে কি হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় গোটা শিলিগুড়ি।