আমুদরিয়া নিউজ : শিক্ষার অধিকার আইন মেনে চলে না, এমন মাদ্রাসাগুলিতে সরকারি সাহায্য বন্ধ করার জন্য শিশু অধিকার সংস্থা ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস মানে এন সি পি সি আর-এর সুপারিশ স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ ওই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। মুসলিম সংগঠন, জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের আইনজীবীর দাখিল করা আবেদনে, যে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সুপারিশ স্থগিত করা দরকার। সংগঠনটি উত্তরপ্রদেশ ও ত্রিপুরা সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করেছে। কারণ, ওই দুই রাজ্যে সরকারি স্বীকৃতিবিহীন মাদ্রাসার ছাত্রদের সরকারি স্কুলে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার শুনানির পরে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে ৭ জুন এবং ২৫ জুন এনসিপিসিআর যে সুপারিশ করেছে তা কার্যকর করা উচিত নয়। একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর) বলেছে যে মাদ্রাসাগুলিতে রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন বন্ধ করা উচিত, যদি না তারা শিক্ষার অধিকার আইন মেনে চলে। যে সুপারিশ প্রক্শ্যে আসার পরে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সহ অনেকে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য দোষারোপ করেছেন। কেরালার ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) বলেছে যে এটি বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রদায়িক এজেন্ডার সর্বশেষ প্রদর্শন। এই মাসের শুরুর দিকে, এনসিপিসিআর-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেছিলেন, যে তিনি কখনও এই ধরনের মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করার আহ্বান জানাননি। তবে সুপারিশ করেছেন, যে এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন বন্ধ করা উচিত, কারণ তারা দরিদ্র মুসলিম শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করছে।
ভিডিও দেখুন এখানে: https://youtu.be/mwcGPD5APJs
প্রিয়াঙ্কা বলেন, তাঁরা কখনও মাদ্রাসা বন্ধ করার পক্ষে কথা বলেননি। তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন, দরিদ্র মুসলিম শিশুরা যাতে মূল স্রোতের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। সে জন্য তাদের সরকারি স্কুলে ভর্থির কথা বলেছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এনসিপিসিআর-এর সুপারিশ কার্যকর করা যাবে না।