আমুদরিয়া নিউজ : তাঁর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কেউ ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্য লিখেছে, এ কথা জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাকিস্তানের এক চিকিৎসক। কিন্তু, পাকিস্তানের পুলিশ সেই ডাক্তারকে গুলি করে খুন করেছে। তার পরে এনকাউন্টার বলে চালিয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, করাচিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ সব কথা বলেছেন পাকিস্তান সরকারের এক মন্ত্রী জিয়াউল হাসান। মন্ত্রী বলেছেন, ডাক্তারের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করলেও তাঁর বাড়ির লোকজন সেটা মানতে চাননি। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত করানো হয়। সেই তদন্তে দেখা গিয়েছে, ডাক্তার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরেও তাঁকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর গুলি করে মারা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বাড়ির লোকজন সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। নিহত চিকিৎসকের নাম শাহ নওয়াজ। তিনি সিন্ধের মির খাওয়াশ এলাকার বাসিন্দা। সেখানেই তাঁর ক্লিনিক ছিল। গত সপ্তাহে ডাক্তারের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ধর্মবিদ্বেষী কথা লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কিছু লোক গিয়ে ডাক্তারের চেম্বার পুড়িয়ে দেয়। আতঙ্কিত ডাক্তার বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। কিন্তু, বেগতিক দেখে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। কারণ, পাকিস্তানে সম্প্রতি ধর্মবিদ্বেষী কোনও মন্তব্য করলে ফাঁসির সাজা চালু হয়েছে। তার পরে ধর্মবিদ্বেষী সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গুলি করে মারা হয়েছে। শাহ নওয়াজের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, ইসলাম ধর্মগ্রন্থে যেমন লেখা রয়েছে, চোখের বদলে চোখ, তেমনই সাজা হওয়া দরকার পুলিশ অফিসারেরও। যিনি গুলি করে মেরেছেন নওয়াজকে, তাঁকে সেভাবেই মারা হোক।