আমুদরিয়া নিউজ : রাজ্যের একাধিক জায়গায় সরস্বতী পুজো ঘিরে বিতর্কের মধ্যে এবার নাম জড়ালো কোচবিহারের। সরস্বতী পুজো না করার অভিযোগ উঠলো কোচবিহার জেলার দিনহাটা ২ ব্লকের পিকনিধারা প্রাইমারি স্কুলে। এই নিয়ে মঙ্গলবার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা। স্কুল চত্বরে দীর্ঘক্ষণ উত্তেজনা ছিল। পরে খবর পেয়ে স্কুলে এসে পৌঁছায় পুলিশ। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতি বছর ওই বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো হয়। পড়ুয়ারা সেই পুজোতে সামিল হয়। এবছর রবি ও সোমবার দুদিন তিথি থাকলেও স্কুলে সরস্বতী পুজো হয়নি। পুজো না করার বিষয়ে স্কুলের পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের কিছু জানানো হয়নি। স্কুলে সরস্বতী পুজো না হওয়ায় অভিভাবকরা ব্যাথিত এবং ক্ষুব্ধ। এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাফাই পুজো করার জন্য তাদের কাছে ফান্ড নেই। তাই এবছর পুজো হয়নি। সামনের বছর হবে। এদিন অভিভাবকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
পুলিশের সামনেই অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষোভ উগরে দেন। এরপর চাপে পরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহজামাল হোসেন জানান, এবছর পুজো করার মত ফান্ড ছিল না। কিন্তু সবাই যখন বলছে পুজো করতে হবে, আমরা সবার সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী কাল স্কুলে পুজো পার্বণ ও খাওয়া দাওয়া হবে। এই বিষয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে কোন গন্ডগোল নেই। এবছর সরস্বতী পুজোয় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার সাক্ষী হল রাজ্যের মানুষ। হাই কোর্টের নির্দেশে পুলিশের নজরদারিতে সরস্বতী পুজো হল কলকাতার যোগেশ চন্দ্র কলেজ।
নদীয়া, শিলিগুড়ি, কোচবিহার সহ আরও কিছু জায়গায় সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে দেখা গেল বিতর্ক। কোন স্কুলে পুজো হলো না, আবার কোথাও স্কুলে ভিতরে পুজো না হওয়ায় নিজ উদ্যোগে স্কুলের গেটের বাইরে পুজো হল বাগ দেবীর। আবার কোথাও পলাশ প্রিয়ার মূর্তির মুন্ডু গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আবার কোথাও পুজো মন্ডপ থেকে সরস্বতীর মূর্তি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল। দিনহাটার স্কুলে সরস্বতী পুজো না হওয়ায় বিতর্কের শিরোনামে জায়গা করে নিল রাজ্যের প্রান্তিক জেলা কোচবিহার।