আমুদরিয়া নিউজ: প্রতিবছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ হজযাত্রী সৌদি আরব যায়। সৌদি সরকার প্রত্যেক দেশ থেকে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে হজযাত্রার অনুমতি দিয়ে থাকে। এর জন্য কোটা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেক দেশের মুসলিম জনসংখ্যা র অনুপাতে সে দেশ থেকে হজ যাত্রার অনুমতি দেয় সৌদি আরব। কোটা অনুযায়ী হজযাত্রী প্রেরণে শীর্ষ ১০ দেশ কারা দেখে নিন
১. ইন্দোনেশিয়া: ২০২৫ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলিম হজ যাত্রার অনুমতি পেয়েছে। এ বছর তাদের জন্য অনুমোদিত সংখ্যা দুই লাখ ২১ হাজার। ইন্দোনেশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলমান বসবাস করে। ইন্দোনেশিয়ায় ২৩০ মিলিয়ন (২৩ কোটি) মুসলমান বাস করে। যা জনসংখ্যার ৮৭ শতাংশ।
২. পাকিস্তান: দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। সেদেশের এক লাখ ৮০ হাজার মুসল্লি হজের অনুমতি পেয়েছে। দেশটিতে ২২ কোটি মুসলিম বসবাস করে।
৩. ভারত: ২০২৫ সালে ভারত থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার ২৫ জন হজ করার সুযোগ পেয়েছে। ভারতে ২০ কোটি মুসলমান বাস করে। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ।
৪. বাংলাদেশ: চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজের অনুমতি পেয়েছে। ২০২৪ সালের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭৩.৫২ মিলিয়ন। তাদের ৯০ শতাংশই মুসলিম।
৫. নাইজেরিয়া: এ বছর নাইজেরিয়ার ৯৫ হাজার মুসলিম হজের অনুমতি পেয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের ভেতর সবচেয়ে বেশি মুসলিম হজের অনুমতি পায় নাইজেরিয়া থেকে। কারণ সেখানেই আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি মুসলমান বাস করে। তাদের সংখ্যা ৯৫ মিলিয়ন।
৬. ইরান: ইরান থেকে এবার ৮৭ হাজার ৫৫০ জন হজের অনুমতি পেয়েছে। ইরানে মোট ৮২ মিলিয়ন মুসলমান বাস করে। যাদের বেশির ভাগ শিয়া মতাদর্শে বিশ্বাসী।
৭. আলজেরিয়া: এই বছর আলজেরিয়া থেকে ৪১ হাজার তিনশ মুসলিম হজের সুযোগ পেয়েছে। আলজেরিয়ায় ৪১ মিলিয়ন মুসলমান বাস করে। যারা জনসংখ্যার মোট ৯৯ শতাংশ।
৮. তুরস্ক: এই বছর তুরস্ক থেকে ৩৭ হাজার ৭৭০ জন হজযাত্রার অনুমতি পেয়েছে। তুরস্কের মোট জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ মুসলিম। যাদের সংখ্যা ৮৪ মিলিয়ন।
৯. ইজিপ্ট: ২০২৫ সালে ইজিপ্টের জন্য নির্ধারিত কোটা ৩৫ হাজার ৩৭৫ জন। ইজিপ্টে ৯৫ মিলিয়ন মুসলিম বসবাস করে। এই বাইরে সেদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ হজগাইড ও দোভাষী হিসেবে কাজ করে।
১০. সুদান: চলতি বছরে সুদানের জন্য নির্ধারিত কোটা ৩২ হাজার জন। সুদানে ৩৯ মিলিয়ন মুসলমান বসবাস করে। যা জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ। সুদানের আর্থিক অবস্থা ভালো না হলেও প্রতি বছর বহু মুসলিম হজ করে থাকে।